কাকরোল মণিপুরী


  • জাত এর নামঃ

    মণিপুরী

  • আঞ্চলিক নামঃ

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

  • জীবনকালঃ

    ১০০-১২০ দিন দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    হেক্টরপ্রতি প্রতি ফলন ২০-২৫ টন। কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। এটি গ্রীষ্মকালে চাষ করা হয়।
    2. ২। এদের স্ত্রী পুরুষ ফুল আলাদা গাছে জন্মে।
    3. ৩। কাঁকরোল গাছ কন্দমূল উৎপন্ন করে যায় সাহায্যে মূলত বংশবিস্তার করে।
    4. ৪। কাঁচাফল তরকারী, ভাজি বা সিদ্ধ করে ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়।
    5. ৫। এ জাতের ফল লম্বাটে ও অপেক্ষাকৃত চিকন, তবে ফলন বেশী দিয়ে থাকে।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । মাটির ধরণ : দোঁআশ থেকে এটেল দো-আঁশ মাটি কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম। তবে জৈব সার যোগ করে অন্যান্য মাটিতে কাঁকরোল চাষ করা যায়।
    2. ২ । জমির উপযোগিতা : ১) মাঝারি উঁচু ও উচু জমি কাঁকরোল চাষের জন্য উত্তম। ২) সুনিষ্কাশিত ও বন্যানমুক্ত জমিতে কাঁকরোল চাষ করা যায়। ৩) কাঁকরোল জলাবদ্ধতা মোটেই সহ্য করতে পারে না।
    3. ৩ । জমি তৈরি : ১) জমি ৪-৫ টি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে তৈরী করতে হবে। ২) জমির উপরিভাগ সমান ও আগাছা দমন করতে হবে। ৩) এরপর চাষকৃত জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের বেড তৈরী করতে হবে।
    4. ৪ । বীজ/মোথা বপন : কাঁকরোলের বীজ বপন বা মোথা রোপণের উত্তম সময় মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুন মাস।
    5. ৫ । বেড তৈরি : ১) দৈর্ঘ্যঃ জমির দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। ২) প্রস্থঃ ৩০০ সে.মি। ৩) দুই বেডের মাঝে নালার প্রস্থ ৩০ সেমি। ৪) দুই বেডের মাঝে নালার গভীরতা ২০ সেমি। ৫) প্রতি বেডে দুটি সারি থাকবে। ৬) সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে ২০০ সেমি। ৭) প্রতি সারিতে ৬০x৬০x৬০ সেমি আকারের গর্ত তৈরী করতে হবে। ৮) মাদা থেকে মাদার দূরত্ব হবে ২৫০ সেমি। ৯) হেক্টরপ্রতি প্রতি মাদার সংখ্যা হবে ২০০০টি।
    6. ৬ । সার ব্যবস্থাপনা : সার সারেরপরিমাণ(প্রতিহেক্টরে) ১। গোবর ২। ইউরিয়া ৩। টিএসপি ৪।এসওপি/এমপি ৫।জিপসাম ৩-৫ টন ১২৫-১৫০ কেজি ১০০-১২৫ কেজি ১০০-১২৫ কেজি ৮০-১০০ কেজি
    7. ৭ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি : ১) গোবর সার জমির তৈরির সময় ছিটিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ২) টিএসপি, এসওপি, জিপসাম চারা লাগানোর ১৫ দিন আগে আকার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ৩) ইউরিয়া সার সমান দুভাগ করে মোথা গজানোর পর যথাক্রমে ১৫ ও ৩০দিন পর উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ৪) এসওপি প্রয়োগ করলে এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে না। ৫) মাটি অধিক অম্লীয় হলে হেক্টরপ্রতি ৮০-১০০ কেজি ডলোচুন শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
    8. ৮ । বীজ/মোথা বপন : ১) কাঁকরোল চাষের জন্য মোথা রোপণ করতে হবে। ২ মিটার দূরত্বে সারিতে ও ব্যবধানে ৫-৬ সেমি গভীরে মোথ রোপণ করে খড়কুটা দ্ধারা ঢেকে দিতে হবে। ২) রোপণের জন্য নির্বাচিত মোথার ৫% পুরুষ গাছের মোথা হতে হবে। ৩) কেননা কাঁকরোলের পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা গাছে জন্মেই পরাগায়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে স্ত্রী গাছের পাশাপাশি আনুপাতিক হারে পুরুষ গাছ ধাকা দরকার।
    9. ৯ । ফসল সংগ্রহের সময় : মধ্য জুলাই হতে মধ্য সেপ্টেম্বর মাস কাঁকরোল সংগ্রহের উত্তম সময়।
    10. ১০ । ফসল সংগ্রহ : ১) কাঁকরোল হলদে সবুজ হলে সংগ্রহ করতে হয়। ২) গাছ রোপণের দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে কাঁকরোল ফুল দিতে আরম্ভ করে। ৩) পরাগায়নের ১২-১৫ দিনের মধ্যে কাঁকরোল সংগ্রহের উপযোগী সময়।

কাকরোল এর জাত সমূহ