ব্রি ধান ৭৯: বন্যায় আক্রান্ত অঞ্চলের নতুন আশা

ব্রি ধান ৭৯: বন্যায় আক্রান্ত অঞ্চলের নতুন আশা

উত্তরাঞ্চলের জেলাসমুহ প্রায় প্রতিবছরেই বন্যায় আক্রান্ত হয়। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারি জেলার অনেক জমি ৭-১৫ দিন নিমজ্জিত থাকে। তাই প্রতিবছরই কৃষকদের বিকল্প ফসল বা বাড়তি চারা তৈরী করতে হয়। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়।

ব্রি ধান ৭৯ তিন সপ্তাহ জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে। সেই সাথে ।আধুনিক  উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতে স্বাভাবিক জীবন কাল ১৩৫ দিন তবে তিন সপ্তাহ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকলে ১৬০ দিন হয়। ব্রি ধান ৭৯ এর স্বাভাবিক গড় ফলন ৫.৫টন /হেক্টর তবে তিন সপ্তাহ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকলে ৪.০-৪.৫ টন/ হেক্টর ফলন দেয়। এ জাতের ধানের দানা অনেকটা ব্রি ধান ৪৯ এর মত। এর চালে এমাইলেজের পরিমান ২৫.২% ও প্রোটিন ৭.৮%।

এ জাতে ধানের বীজতলায় ১৫ জুন হতে ০১ জুলাই এর মধ্যে বীজ বপন করতে হবে। চারার বয়স হতে হবে ৩০ দিন ও গুছিতে ২-৩ টি চারা দিয়ে রোপন করতে হবে।

সার এর মাত্রা:

বন্যা মুক্ত পরিবেশেঃ ইউরিয়া ২৭কেজি/ বিঘা , টিএসপি ০৮কেজি/ বিঘা, এমওপি ০৭ কেজি/ বিঘা, জিপসাম ০৮ কেজি/ বিঘা, দস্তা ০১ কেজি/ বিঘা।

বন্যা কবলিত পরিবেশেঃ ইউরিয়া ২৩ কেজি/ বিঘা , টিএসপি ০৭ কেজি/ বিঘা, এমওপি ১৭ কেজি/ বিঘা, জিপসাম ০৭ কেজি/ বিঘা, দস্তা ০১ কেজি/ বিঘা।