পবায় যান্ত্রিকভাবে ধানের চারা তৈরীর উদ্বোধন

পবায় যান্ত্রিকভাবে ধানের চারা তৈরীর উদ্বোধন

ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। দেশে একদিকে কৃষি জমি কমছে এবং অন্যদিকে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষি শ্রমিক কমে যাচ্ছে। প্রতিটি ফসল উৎপাদন শ্রমিক ও শ্রম নির্ভর। এছাড়াও শিল্পায়ন ও সময়ের সাথে সাথে কৃষি শ্রমিকদের অন্য কাজে চলে যাওয়া, নতুন প্রজম্মের কাছে কৃষি কাজ সর্বোচ্চ আগ্রহে না থাকা এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি একদিকে হয়ে পড়েছে চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন অন্যদিকে খাদ্য সংকট বাড়ার একটি আশংকা দেখা দিয়েছে। এই সংকট মোকাবেলায় ধান উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি নির্ভর করার বিকল্প নেই।

সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে রাজশাহীর পবায় অটো রাইস প্লাট প্রডাকশন লাইন মেশিন দিয়ে যান্ত্রিকভাবে চারা তৈরীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলার হলদিবোনায় এ লাইন মেশিন দিয়ে যান্ত্রিকভাবে চারা তৈরীর উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (অতিরক্তি সচিব) আমিনুল ইসলাম।


বগুড়া আরডিএ উপ পরিচালক শেখ শাহরিয়ার মোহাম্মদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি ও এলাকার কৃষকবৃন্দ।


প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, আবার জমি তৈরি, আগাছা দমন এবং ধান মাড়াই আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারলেও বীজ বোনা, চারা লাগানো এবং কাটার কাজগুলো কৃষক এখনও সনাতন পদ্ধতিতে করছে। ক্রমেই কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দেয়া দিচ্ছে। শ্রমিক খরচ বেশী হওয়ায় ফসলে লোকসান হচ্ছে। তাই ধান উৎপাদন খরচের সিংহ ভাগ ব্যয় হয় চারা লাগানো এবং ধান কাটার কাজে। ফলে ক্রমেই ধান উৎপাদন অলাভজনক হয়ে পড়ছে। ধান উৎপাদনকে লাভজনক করতে তথা উৎপাদন খরচ কমাতে যান্ত্রিক চাষাবাদের বিকল্প নেই।


আশার কথা হলো বর্তমান সরকার শ্রমিক সংকট বিবেচনা করে এবং সময়ের দাবিতেই বীজ চারা থেকে শুরু করে কাটা মাড়াইয়ের কাজও যন্ত্রের মাধ্যমে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সল্প সময়ে অধিক জায়গায় ধান লাগানোর কাজে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করলে ধান উৎপাদনের খরচ কমবে এবং শ্রমিক স্বল্পতার সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে।


জানা গেছে, প্রদর্শিত অটো রাইস প্লাট প্রডাকশন লাইন মেশিনে মাত্র দুই ঘন্টায় ৭৫ বিঘা জমির জন্য সিডলিং ট্রে তৈরী হয়। এইভাবে চারা তৈরী ও যান্ত্রিকভাবে রোপন করলে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে খরচ অর্দেকে নেমে আসবে। এতে উৎপাদন খরচ কম হবে এবং লাভবান হবে।