নিরাপদ খাদ্য চাই

নিরাপদ খাদ্য চাই

নিরাপদ খাদ্য চাই

 

১৬ কোটির জনবহুল বাংলাদেশে বিষ একটি আতংকের নাম। এই বিশাল জনগোষ্ঠির খাদ্য চাহিদা মেটাতে ফসল উৎপাদনে পোকা দমনে যত্রতত্রভাবে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। কোনো নিয়ম না মেনে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ যেমন বাড়ছে তেমনি তার স্বাস্থ্যঝুকির সাথে সাথে ফসল অনিরাপদ করে তুলছে ফলশ্রুতিতে মানুষ নিরাপদ খাদ্য গ্রহনে সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। খাদ্য অনিরাপদ শুধু কৃষক পর্যায়ে হচ্ছে না, অসাধু ব্যবসায়ী এবং অসচেতন ভোক্তা পর্যায়ে খাদ্য অনিরাপদ হওয়ার কারনে জনগন চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য সঠিকভাবে উৎপাদন করতে না পারায় জাতির মেধা যেমন ধ্বংশ হচ্ছে তেমনি পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন সত্তেও উন্নত বিশ্বে সবজি ও ফল রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি ফসল রপ্তানিতে  বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে।   

            

                                                     

খাদ্য নিরাপদ করণে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় যে পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা অন্যতম। বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা, কুমড়া জাতীয় সবজির মাছি পোকা, ফলের মাছি পোকা, ফুলকপি ও টমেটোর লেদা পোকা দমন সেক্স ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহারের ফলে কীটনাশকের ব্যবহার এক-তৃতীয়াংশ কমে এসেছে। ফলের মাছি পোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা  দমনে ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ফল মার্বেল আকৃতির পর আর কোন কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ছেনা। কলায় ব্যাগিং প্রযুক্তি প্রয়োগের ফলে কীটনাশকমুক্ত কলা উৎপাদিত হচ্ছে। ধানের জমিতে পার্চিং করাতে মাজড়া পোকা আক্রমনের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে এবং লাইট ট্রাপের মাধ্যমে পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করে পোকা দমনে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদন করে জমিতে প্রয়োগ করায় মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মাটিতে অনুজীবের সংখ্যা ও জৈব পদার্থের পরিমান বাড়ছে। এতে করে বন্ধু পোকা সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ,মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, কৃষকের স্বাস্থ্যঝুকি হ্রাস পাবে পাশাপাশি হাজার হাজার কোটি টাকার যে কীটনাশক আমদানি করতে হয় তার এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পাবে । তইি আইপিএম কৌশল ও বিভিন্ন জৈব প্রযুক্তির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ এবং উদ্বুদ্ধকণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ধারা অব্যহত রয়েছে। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী রাখার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।